সবাই জানে কনটেন্ট ইজ কিং। কিন্তু সব কনটেন্টই কি কিং? সব কনটেন্টই কি বিজনেসের জন্য রেজাল্ট নিয়ে আসবে? কেমন কন্টেন্ট তৈরি করা উচিত? কিভাবে করা উচিত? এই রকম অনেক বিষয় নিয়েই অনেকের দূর্বলতা আছে।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যত গুলো স্ট্রাটেজি আছে তমধ্যে কনটেন্ট খুবই পাওয়ারফুল স্ট্রাটেজি। কনন্টেট ব্রান্ড তৈরি, লিড জেনেরেশন, সেলস বাড়াতে এমনকি বার বার সেলস করতে ভূমিকা রাখে।
এই কোর্সের লক্ষ্য হলো যারা বিজনেস সাইটের জন্য স্টাটেজিক্যালি কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম করে তোলা। অনেকে আছে অনলাইনে একটা বিজনেস তৈরি করতে চায়, কিন্তু ঠিক বুঝে উঠতে পারে না ক্লায়েন্ট কিভাবে পাবে আবার অনেকে বিজনেস তৈরি করেছে তারা ঠিক বুঝতে পারছে না তাদের মার্কেটিং কেমন হবে। তাদের এই কোর্স একটা পরিস্কার রোড ম্যাপ তৈরি করে দিবে।
আবার যারা কনটেণ্ট রাইটার তারাও ক্লায়েন্টের স্ট্রাটেজি বুঝতে পারবে। তারা কেন আর কোন ফেইজের জন্য কনটেন্ট লিখছে এটা যখন জানবে তারা অবশ্যয় অনেক উন্নত কনটেন্ট তৈরি করতে পারবে।
ফ্রিল্যান্সার কিংবা এফিলিয়েট মার্কেটারদের অনেকে ক্লায়েণ্টের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করে তারা ক্লায়েন্টের সাথে স্ট্রাটেজি তৈরিতে অথবা নিজের বিজনেস সাইট তৈরি কিংবা প্রোডাক্ট সাইট তৈরি করে তার জন্য কনটেন্ট স্ট্রাটেজি তৈরি করতে পারে। এটা আমাদের একটা বিশেষ লক্ষ্য যাতে মাঝখানের এই ভ্যারিয়ারটা না উঠিয়ে দিয়ে অনেককে বিজনেস তৈরিতে এই কোর্সের মাধ্যমে সাহায্য করা।
শুরুতেই আমরা কিছু ফাউণ্ডেশনাল বিষয় আলোচনা করবো। যেমন ওয়েবে একটা বিজনেস তৈরি হয় কিভাবে, কিভাবে তারা মার্কেটিং করে আর এই মার্কেটিংয়ে কনটেণ্টের ভূমিকা কি, একটা সাইট কিভাবে তৈরি করতে হবে।
এরপর আমরা ক্লায়েন্ট অবতার তৈরির বিষয়টি শিখবো। প্রত্যেক বিজনেসের একটা টার্গেট গ্রুপ আছে। এই টার্গেট গ্রুপে আইডেন্টিফাই করা প্রয়োজন কারন প্রোডাক্ট/ সার্ভিস ডিজাইন, মার্কেটিং মেসেজ তৈরি, কনটেণ্ট তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্রাটেজি তৈরি, ও পেইড মার্কেটিং এই টার্গেট গ্রুপকে কেন্দ্র করে করতে হবে। আপনি যদি জানেন যে কারা আপনার টার্গেট গ্রূপ তাহলে আপনার প্রমোশন সহজ হয়ে যায়।

এরপর আমরা মার্কেটিং ফানেল সম্পর্কে শিখবো। টার্গেট গ্রূপ তাদের বায়িং জার্নিটা বিভিন্ন ধাপে সম্পন্ন করে। সেটাও আমরা জেনে নিবো।

ফানেলের প্রতিটি ধাপ ( টপ ফানেল, মিডল ফানেল, বটম ফানেল) সম্পর্কে জানবো আর কোন ফানেলে কি ধরনের কনটেন্ট আমাদের তৈরি করতে হবে সেই বিষয়টি আমরা শিখবো।
ভিজিটর থেকে লিডে, লিড থেকে প্রসপেক্টিংয়ে আর সেখান থেকে সেলসে কনভার্ট করার জন্য স্ট্রাটেজি তৈরি করবো আর সেই অনুযায়ী আমরা কনটেণ্ট তৈরি করবো।

বিভিন ধরনের কনটেন্ট ফরমেট সম্পর্কে আমরা জানবো। আমরা শিখবো কিভাবে এই কনটেণ্ট গুলো তৈরি করতে হয়। কিভাবে বেস্ট রাইটার আমরা হায়ার করবো সেটাও আমরা শিখবো।
অনেকে আছে এফিলিয়েট সাইট পরিচালনা করে। এই সেকশনটি তাদেরও বিশেষ ভাবে কাজে আসবে। এফিলিয়েট কনটেণ্ট তৈরির বিশেষ মডিউল রয়েছে। যেখানে আমরা রিভিও ও বিশেষ ধরনের ইনফরমেশন কনটেণ্ট নিয়ে আলোচনা করবো।
কনটেণ্ট তৈরি করার পর কনটেণ্ট টেস্ট করা, অপটিমাইজ করা আমরা শিখবো। কনটেন্ট অপটিমাইজ করার পর কনটেণ্ট ড্রিস্ট্রিভিউশন সম্পর্কে আমরা শিখবো। কনটেণ্ট ডিস্ট্রিভিউশনে কিভাবে এসইও, আউটরিচ, সোশ্যাল ও পেইড চ্যানেল ইউজ করবো সেটা আমরা শিখবো।
কনটেণ্ট ক্রিয়েশনের ক্ষেত্রে আমাদের একটা বিশেষ লক্ষ্য থাকে যেনো আমরা র্যাঙ্ক করতে পারি। তার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ আর লিঙ্ক তৈরি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই লিঙ্ক্যাবল কনটেন্ট তৈরির বিষয়টি আমরা বিশেষ ভাবে আলোচনা করবো। এই মডিউলটি বিজনেস সাইট ছাড়াও যে কোন ইনফরমেশন সাইট ( যেমন এফিলিয়েট/নিশ) সাইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কনটেণ্ট তৈরি করে পাবলিশ করার ক্ষেত্রে অনসাইট এসইও বিশেষ বিবেচনায় নিতে হয়। তাই ইনফরমেশন আর্কিটেকচারের খুব গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাটেজি কনটেন্ট সাইলো সম্পর্কে আমরা জানবো।
বিশেষ মডিউল ও কেস স্টাডিঃ কোর্সটি আমরা প্রতিনিয়তই আপডেট করবো। কনটেন্ট স্ট্রাটেজির সাথে ডিরেক্টলি ও ইনডিরেক্টলি জড়িত বিষয় গুলো আমরা কোর্স অন্তভুক্ত করবো।
কিউরেশন ও রিসোর্সঃ ওয়েবে প্রচুর ভালো কনটেণ্ট রয়েছে। অধিকাংশ আলোচনার কমপ্লিমেন্টরি ইনফরমেশন ও ওয়েব লিঙ্ক যুক্ত করা থাকে। কোর্সের বিষয়টি পুরাপুরো শিখতে ও আত্বস্ত করতে সাপ্লিমেন্টরি ও কমপ্লিমেন্টরি পড়াশুনা অবশ্যয় করতে হবে।
পকেট এপ – এই কোর্সের দেয়া কম্পিমেন্টরি আর্টিকেল গুলো পড়ার জন্য পকেট এপ আপনাকে খুব ভালো ভাবে সাহায্য করতে পারে। আর্টিকেল গুলো সাথে সাথে না পড়লেও আপনি পকেট এপে সেইভ করে রাখতে পারেন। এতে করে ভ্রমনের সময়, কোথাও অপেক্ষা করার সময় কিংবা নিজের সুযোগ সুবিধা মতো আপনার মোবাইল থেকে আপনি লেখা গুলো পড়তে পারেন।